আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে পৌরকর্মীদের ৩৩ মাসের বেতন বকেয়া

কে এম মিঠু, গোপালপুর:
নিয়মিত কাজ চালিয়ে গেলেও বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না টাঙ্গাইলের গোপালপুরের পৌরকর্মীরা। প্রায় ৩৩ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ সমস্যা বেশ পুরনো হলেও করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ পৌরকর আদায় বন্ধ থাকায় সংকট আরো বেড়েছে।

জানা যায়, ২৩ দশমিক ১৩৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গোপালপুর পৌরসভা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুদীর্ঘ চুয়াল্লিশ বছর পর এটি প্রথম শ্রেণিত উন্নীত হয়। তারপরেও দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-বোনাস বকেয়া। এখানে ৩৮ জন স্থায়ী ও ৩৬ জন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হয়েও সরকার প্রদত্ত নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। বেতন কম হলেও মাসের পর মাস পড়ে থাকে বকেয়া। পৌরসভার রাজস্ব খাতে নিজস্ব আয় রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বরাদ্দ বা নিজস্ব তহবিল কোনোটাই কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করে না।

পৌর সচিব রকিবুল হাসান জানান, ৩৩ মাস ধরে পৌরকর্মীদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। বর্তমান মেয়রসহ পূর্ববর্তী মেয়রদের আমল থেকেই এ সব বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। গত দু’বছর ধরে আন্দোলন করেও কোন সুফল হচ্ছে না।

সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ মিয়া জানান, এ পৌরসভায় রাজস্ব আয় অনেক কম। যা আয় হয়, তাই দিয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। তা না হলে তারা কাজ করতে চায় না। বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান তিনি।

পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা জানান, পূর্বের মেয়র নামমাত্র করনির্ধারণ করার ফলে পৌরসভার আয় কমে গিয়েছে। এখন আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমান বেশি হওয়ায় এমনটা হয়েছে। সরকারি রেটে কর নির্ধারণ হলে পৌর আয় দিয়ে সকল ব্যয় মিটিয়ে উন্নয়ন করা সম্ভব। দুই মাস পর আমরা নতুন করে কর নির্ধারণের (এ্যাসেসম্যান) কাজ করবো। আশা করি তখন একটি ভারসাম্যতা ফিরে আসবে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!